নীল নদের দেশ
নীল নদের উপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছিল প্রাচীন মিশরের সভ্যতা। প্রতি বছর নীল নদের বন্যায় পলি পড়ে উভয় কূলের মাটি উর্বর হতো, ফলে প্রচুর ফসল হতো। এ ছাড়া খালের সাহায্যে পানি নিয়ে নীল নদের দুই তীরে অঞ্চলগুলোতে চাষাবাদ করা হতো। এই আবাদি এলাকার পরিমাণ ছিল বর্তমান মিশরের জনবসতি এলাকার প্রায় সমান।
খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ সালে মিশরে ছিল দুইটি বড় রাজ্য। উর্ধাঞ্চলীয় মিশর রাজ্য ছিল নীল নদের বদ্বীপ সীমা থেকে ৫০০ মাইল দক্ষিণে বর্তমানের আসোয়ান পর্যন্ত বিস্তৃত। অন্যদিকে নিম্নাঞ্চলীয় মিশর রাজ্য বিস্তৃত ছিল নীল নদের পুরো বদ্বীপ এলাকাজুড়ে। খ্রিস্টপূর্ব ৩১০০ সালে উর্ধাঞ্চলীয় মিশরের রাজা মেনেস নিম্নাঞ্চলীয় মিশর জয় করে দেশটিকে এক রাজ্যে পরিণত করেন।
মিশরের শাসকরা পরিচিত ফারাও হিসেবে। মেনেসের পর থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৩৩২ সালে আলেকজান্ডার মিশর জয় করার আগ পর্যন্ত ৩০টি বংশ মিশর শাসন করে। মিশরের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাল হচ্ছে- প্রাচীন রাজ্য (খ্রিস্টপূর্ব ২৮০০-২১৭৫): তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ বংশ পর্যন্ত। মধ্যবর্তী রাজ্য (খ্রিস্টপূর্ব ২১৫৩-১৮০০): দ্বাদশ বংশ পর্যন্ত। নয়া রাজ্য (খ্রিস্টপূর্ব ১৫৭৩-১০৮৫): অষ্টাদশ থেকে বিংশ বংশ পর্যন্ত। পিরামিড ও স্ফিংকস তৈরি হয়েছিল প্রাচীন রাজ্যের আমলে। এ সময় মিশরীয়রা শিল্পকলায় সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছিল।
ছবি- গুগল থেকে নেয়া।
Posted on এপ্রিল 29, 2012, in ইতিহাস and tagged নীল নদ, মিশর. Bookmark the permalink. 23 টি মন্তব্য.
আমি ১৯৯৫ সালে মিশর ভ্রমণ করেছি। আপনার এই ব্লগ দেখে অনেক কথা চোখের সামনে ভেসে উঠছে…।
মিশর না গেলে দুনিয়াতে অনেক কিছু মিস হয়ে যাবে…। হা হা হা…
ধন্যবাদ সাহাদাত উদরাজী ভাই। মিশর যাওয়ার ইচ্ছা আছে আমার। কারণ প্রাচীন সভ্যতার অনেক নিদর্শন রয়েছে সেখানে। আপনার মিশর ভ্রমণ নিয়ে পোষ্ট চাই। :)
ধন্যবাদ রুমান ভাই। অনেক দিন আগের কথা… তেমন মনেও নাই… তবে এখানে একটু দেখে আসতে পারেন… সামান্য কিছু কথা ও আমার ছবি আছে… আমরা বন্ধু ব্লগে… (একটা কমেন্ট করে আসবেন, খুশি হব)
আত্মকথাঃ মিশরের পিরামিড।
http://www.amrabondhu.com/udraji/2005
অনেক পুরনো একটা ভ্রমণ ব্লগ পোষ্ট পড়ে ভালো লেগেছে সাহাদাত উদরাজী ভাই। কমেন্টে ভালো লাগা জানিয়ে এসেছি। :)
ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা। :)
tumi to janoi ruman ami egypt pray beshir vag i dekhey eseychi..tmr post porey nostalgic hoye porlam..onek valolaglo.
ruman tumi ki dekheycho last fri day r sahitto patay china r upor lekha amr ekta vromon post chapa hochchey…deikho :)
oh paper er naam ta Amar Desh :P
khali vuley jai sob ek sathey likhtey :(
মিশর ভ্রমণ নিয়ে সামুতে আপনার পোষ্ট পড়েছি। খুব ভালো লেগেছিল। আমারও ইচ্ছা আছে মিশর ভ্রমণের।
আরে! আপনার লেখাটা আমার চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। এখনই পড়ছি লেখাটা। http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/04/27/142469 এটা হচ্ছে আপনার সেই লেখার লিঙ্ক।
একসাথে লিখতে পারেননি বলে কোন সমস্যা নেই। :)
আর হ্যাঁ, আমার পার্সোনাল ব্লগে আসার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জুন আপু। :)
ভালো থাকবেন সব সময়।
জুন আপা, আপনাকে আমার ওয়ার্ড প্রেস ব্লগে আমন্ত্রণ জানাতে চাই। আপনার মেইল দিলে খুশি হব…
udraji@gmail.com
(রুমান ভাই, সরি আপনার পোষ্ট আপাকে জানিয়ে গেলাম)
আরে! এটা কোন কথা বললেন সাহাদাত উদরাজী ভাই?
জুন আপাকে কমিউনিটি ব্লগে এখন কম দেখা যায়।
obossoi udarji vai ..kono apotti nai
লিবিয়ায় যখন ছিলাম, মিশরে যাবার খুব ইচ্ছে ছিলো, কিন্তু যাওয়া হয় নি। কবে আবার যাবো!
যাবার সময় আমাকে নিয়ে যাইয়েন আপনার সাথে। :-P
আর হ্যাঁ, মিষ্টি খাওয়াতে ভুলবেন না কিন্তু। :D
ঢাকায় এলে আমাকে ফোন দিও- ০১৭৩৭২৩০৩৫৪।
মিষ্টি খাওয়াবো।
আচ্ছা ঠিক আছে। :)
সুরঞ্জনা আপার ওয়ার্ড প্রেস ব্লগ দেখে আসুন…।।
http://jamilahasanblog.wordpress.com/
অনেক ধন্যবাদ সাহাদাত উদরাজী ভাই, সুরঞ্জনা আপার ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগের লিঙ্ক দেয়ার জন্য।
সহজ লেখায় আসাধারণ একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। এজন্য ধন্যবাদ। আর আপনার সাথে ভ্রমণটা সারতে পারলে ভালই হত। যদি না পারি, তবে আপনার //মিশর ভ্রমণ কথা// শীর্ষক একটা লেখা পাবার অপেক্ষায় থাকলাম…
আমি তো মিশর ভ্রমণে যাই নি!!!
যা হোক, ধন্যবাদ আপনাকে।
মাফ করবেন, আপনার যাওয়ার আগ্রহ আছে বলে মনে হয়েছিল। তাই যদি যান তবে তার লেখা পাবার আগাম আশা করছিলাম।
আমি আসলে আপনার মন্তব্যটা ভালো করে বুঝতে পারিনি। কিছু মনে করবেন না দয়া করে।
আর হ্যাঁ, মিশর গেলেতো অবশ্যই তা ব্লগে শেয়ার করবো।
ভালো থাকুন, অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।