মরুর বুকে বায়ান্ন দিন: ৩য় পর্ব
৩ জুন, শুক্রুবার দিন। এর আগের দিন ঠিক করা হলো আমরা আবুধাবীর উপশহর আল-আইনে যাচ্ছি। ভ্রমণের স্থান হিসেবে নির্ধারিত হলো আল-আইনে অবস্থিত আরব আমিরাতের সর্বোর্চ পর্বত জাবালে হাফিত (হাফিত মাউন্টেন) এবং আল-আইন চিড়িয়াখানা। আমরা আল-আইনে যাচ্ছি জেনে মামার পরিচিতজন ইমরান সাহেব উনার বাসায় রাতের খাবারের দাওয়াত দিলেন। তাই আল-আইন থেকে আবুধাবীতে ফেরার পথে ইমরান সাহেবের বাসায় যাত্রা বিরতি করে রাতের খাবার সাড়ার কথা ঠিক হলো। শুক্রুবার দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে রেডি হতে গিয়ে দেখি মামা ফরমাল ড্রেস-আপ করছে। তখন মামাকে বললাম- এসব পড়ে জাবালে হাফিতে কিভাবে উঠবেন? মামা তখন বললেন- তুমি কি মনে করছ আমরা সেখানে climb করে উঠবো? জাবালে হাফিতে উঠার জন্য গাড়ির রাস্তা আছে। গাড়ির সাহায্যে সহজে উঠা যায়। গেলে দেখতে পাবে। এই পাহাড়টির উচ্চতা কতো জানতে চাইলে মামা বললেন- প্রায় ১৩০০ মিটার। ১৩০০ মিটার উচ্চতায় উঠার জন্য গাড়ির রাস্তা আছে ভেবে অবাকই হলাম বটে।
সে দিন সকাল ১০টায় আমরা আল-আইনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম প্রাইভেট কারে করে। আমরা বলতে আমি, মামা এবং ছোট খালার স্বামী। ছোট খালার স্বামীর সাথে সে দিনই দেখা হয়েছিল আরব আমিরাতে যাওয়ার পর। গাড়ি ড্রাইভ করেছিলেন মামা। আল-আইন শহরের অবস্থান আবুধাবীর ১৪০ কিলোমিটার পূর্বে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পূর্ণতা এবং সবুজায়নের কারণে আল-আইনকে “গার্ডেন সিটি” বলা হয়। পুরো আরব আমিরাতের ৪র্থ বৃহৎ নগরী এই আল-আইন। ২০১০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী আরব আমিরাতের মোট জনসংখ্যা হচ্ছে ৮২,৬৪,০৭০ জন। তার মধ্যে মূল এমিরাতির (UAE’র মূল আরব) সংখ্যা মাত্র ১৬.৬০% অর্থাৎ ১৩,৭১,৮৩৫ জন! আর এই ১৬.৬০% নাগরিকের বেশিরভাগই থাকেন আল-আইনে। আরব আমিরাতের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং প্রথম প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদের জন্মস্থানও আল-আইন শহরে।
তাওয়াম বা আল-বুরাইমি মরুদ্যান হিসেবে ঐতিহাসিকভাবে পরিচিত ছিল আজকের আল-আইন। ১৯৭১ সালের ০২ ডিসেম্বর আরব আমিরাত স্বাধীন হওয়ার পর এই তাওয়াম বা আল-বুরাইমির কিছু অংশ প্রতিবেশি দেশ ওমানের ভাগে পড়ে। প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে ৪০০০ বছর আগ থেকে আল-আইনে মানুষ বসবাস করে আসছে। ইসলাম ধর্মের প্রবর্ত্তক হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর সাহাবী কাব বিন আহবার (রা.) কে এই জায়গায় পাঠিয়েছিলেন ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এখানে থেকে যান। ঊনবিংশ শতাব্দির শেষের দিকে কিংবা বিংশ শতাব্দির শুরুর দিকে আল-বুরাইমি মরুদ্যানের উপর আবুধাবীর নিয়ন্ত্রণারোপের জন্য বেশ কিছু দূর্গ নির্মাণ করা হয়। ১৯৫২ সালে সউদি আরব জোরপূর্বক এই দূর্গগুলো দখল করার জন্য এবং আল-বুরাইমি মরুদ্যানকে নিজেদের সাম্রাজ্যে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য সৈন্য প্রেরণ করে। সউদি আরব তাদের সৈন্য প্রেরণ করার কয়েকদিন পর ওমান তার সেনাবাহিনীকে আল-বুরাইমি পুনঃদখল করার জন্য পাঠায়। পরবর্তীতে ব্রিটিশদের হস্তক্ষেপে সউদি বাহিনী নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় এবং আল-বুরাইমি মরুদ্যান আরব আমিরাত এবং ওমানের কাছে হস্তান্তর করে।
বিশ্বখ্যাত অনুসন্ধানকারী এবং ভ্রমণ লেখক স্যার উইলফ্রেড থেজাইগার ১৯৪০ সালে আল-আইন ভ্রমণ করেন। আরব আমিরাতের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং প্রথম প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদের সাথে সে সময়ে উনার সাক্ষাৎ হয়। UAE স্বাধীন হওয়ার আগে আল-আইন ছিল আরব দাস বাণিজ্যের একটি নেটওয়ার্ক যেটি পূর্ব আফ্রিকা থেকে পারস্য উপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে শেখ জায়েদের প্রচেষ্টায় এই দাস বাণিজ্যের বিলুপ্তি ঘটে। ১৯৭২ সালে আরব আমিরাত এবং ওমান সরকার আল-বুরাইমি মরুদ্যানকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য সম্মত হয়। ভাগাভাগির পরে আরব আমিরাতের অংশের নাম রাখা হয় আল-আইন এবং ওমানের অংশের নামে কোন পরিবর্তন আনা হয়নি অর্থাৎ আল-বুরাইমিই থেকে যায়। ২০০৬ সাল পর্যন্ত আল-আইন এবং আল-বুরাইমির মধ্যকার সীমান্ত খোলা রাখা হতো। যার ফলে আরব আমিরাত এবং ওমানের নাগরিকরা সহজে এপার-উপারে যেতে পারতো। কিন্তু ২০০৬ সালের নভেম্বরে এই সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয় এবং পারাপারের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়। আরব আমিরাতের প্রধান ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয় United Arab Emirates University আল-আইনে অবস্থিত। স্বাধীনতা লাভের পর আল-আইন অনেক দূর এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। UAE’র স্বপ্নদ্রষ্টা এবং প্রথম প্রেসিডেন্টের জন্ম, বেড়ে উঠা এই আল-আইনে হওয়ার কারণে এই উপশহরটি এত দ্রুত উন্নতি করতে পেরেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
যাক এবার ফিরে আসি মূল কাহিনীতে। সকাল ১০টায় আবুধাবী থেকে রওনা হয়ে আমরা আল-আইন পৌঁছি সাড়ে ১১টায়। আল-আইনে পৌঁছে হালকা নাস্তা সেড়ে জুমার নামাজ আদায় করার জন্য একটা মসজিদে গেলাম। জুমার নামাজ পড়ে একটা বাঙালি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম দুপুর খাবার সাড়ার জন্য। সর্বসম্মতিক্রমে বাসমতি চাউলের কাচ্চি বিরিয়ানীর অর্ডার দেয়া হলো। বিরিয়ানীর ঘ্রানটা অসাধারণ ছিল। দুপুরের খাবার সেড়ে ফ্রি হতে প্রায় ২টা বেজেছিল। খাবার সেড়ে এবার সোজা জাবালে হাফিতে যাওয়ার পালা। বেশি সময় লাগেনি জাবালে হাফিতে পৌঁছতে। ৬/৭ মিনিটের মতো লেগেছিল। পাহাড়ের নিচ থেকে উঠতে হবে গাড়ির সাহায্যে। পাহাড়ের নিচ থেকে একদম চূড়া পর্যন্ত আঁকাবাঁকা এই রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য ১১.৭ কিলোমিটার। পৃথিবীর অন্যতম সেরা ড্রাইভিং রোড হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই রাস্তাকে। জার্মানির একটি কোম্পানী রাস্তাটি নির্মাণ করে। প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে “The Jebel Hafeet Mercure Challenge” নামে এই রাস্তায় সাইক্লিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাইক্লিস্টরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকেন।
১১.৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই চমৎকার রাস্তাটি বেয়ে আমরা উঠে গেলাম জাবালে হাফিতের একদম চূড়ায়। অর্থাৎ আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ অংশে। এ যেন অন্যরকম অনুভূতি! জাবালে হাফিতের সর্বোচ্চ চূড়াটি বেশ চওড়া। বলা যায় অনেক বড় একটি পার্কিং স্পেস। বসার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। এছাড়া একটা রেস্টুরেন্টও আছে সর্বোচ্চ চূড়ায়। আমরা যখন চূড়ায় অবস্থান করছিলাম তখন ছিল প্রখর রৌদ। তারপরেও পর্যটকদের সংখ্যা কম ছিলনা। নানা দেশের পর্যটকদের বিচরণে অনেকটা ব্যস্ত ছিল আমিরাতের সর্বোচ্চ চূড়াটি। এদিকে মামা আমার ছবি তুলছিলেন তখনকার ফিল্ম ক্যামেরা দিয়ে। রৌদের তাপ উপেক্ষা করে আমরা পর্বতের আশে-পাশে ঘুরতে লাগলাম। ঘুরে ফিরে সব কিছু অবলোকন করছিলাম। প্রায় দুপুর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আমরা ওখানে অবস্থান করেছিলাম। তখন মনে মনে চিন্তা করছিলাম আজ বোধহয় আল-আইন চিড়িয়াখানায় যাওয়া হবেনা। কারণ সন্ধ্যা হতে সময় বেশি নেই। ব্যাপারটা খালু এবং মামাকে বললে তারা আমার সাথে একমত হন। তারপর আমরা রওনা দিলাম আল-শহরের দিকে। আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামতে লাগলাম এবং বিদায় জানাতে লাগলাম মরুর বুকের এই সর্বোচ্চ পর্বতকে।
আল-আইন শহরে এসে বিকালের নাস্তা সাড়ার জন্য মামা একটা রেস্টুরেন্টের সামনে গাড়ি পার্কিং করলো। নাস্তা করা শেষে খালুকে নিয়ে পায়ে হেঁটে শহরে ঘুরতে লাগলাম। মামা ক্লান্ত বিধায় গাড়িতে তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। প্রবাসীদের মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের নাগরিক লক্ষ্য করলাম। এদিকে খালু উনার পরিচিত এক ব্যক্তিকে ফোন দিলেন দেখা করার জন্য। ফোন দেয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে লোকটি গাড়ি নিয়ে হাজির। লোকটি বোধহয় আমাদের আশে-পাশে ছিলেন কিংবা আমরা যে জায়গায় ছিলাম সেখান থেকে উনার বাসস্থান খুব কাছে। খালু আমাকে উনার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। আমাদের উনার বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক জোর করেছিলেন লোকটি। কিন্তু মামাকে গাড়িতে রেখে আসার কারণে উনার অনুরোধ রাখা সম্ভব হয়নি। লোকটার সাথে কথা বলে যখন বিদায় নিচ্ছিলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। উনাকে বিদায় দিয়ে আমরা গাড়ির পার্কিংস্থলে ফিরে গেলাম।
এবার আবুধাবীতে ফিরে যাবার সময় হয়েছে। এমন সময় মামার পরিচিতজন ইমরান সাহেব মামাকে ফোন দিয়ে জেনে নিলেন আমরা কোথায় আছি এখন। কারণ রাতের বেলা উনার বাসায় দাওয়াত রয়েছে। অর্থাৎ এখন ইমরান সাহেবের বাসায় যাওয়ার পালা। উনার বাসার অবস্থান ঠিক মনে করতে পারছিনা তবে তা আল-আইনের ভিতরে হবে। এছাড়া উনি যে জায়গায় থাকেন সে জায়গাটির নাম “সাওহান”। গাড়ি চলতে চলতে হঠাৎ মামা রাস্তার পাশে গাড়ি থামালেন। ফোন দিলেন ইমরান সাহেবকে। মামা বোধহয় আগে এই জায়গাটিতে আসেননি, তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য উনাকে ফোন দিয়েছিলেন। ইমরান সাহেবের সাথে কথা বলা শেষে মামা গাড়িকে ডানে ঢালুর দিকে মোড় নিলেন। ঢালুতে নেমে দেখি শুধু বালু আর বালু। বুঝতে বাকী রইলো না যে এলাকাটি একটি মরু গ্রাম। এদিকে ইমরান সাহেব আমাদের সুবিধার জন্য একজন নেপালিজকে পাঠালেন। নেপালি লোকটি ঢালুর পাশে আমাদের জন্য অপেক্ষারত ছিলেন। উনাকে আমাদের গাড়িতে তুলে নিলাম। লোকটি মামাকে হিন্দিতে বলে দিলেন যে গাড়ি বেশ স্পীডে চালাতে হবে। তা না হলে বালুতে গাড়ি আটকে যেতে পারে। মামা লোকটাকে বললেন, কোন দিকে যেতে হবে তা যেন আগে থেকে বাতলে দেয়। জায়গাটিতে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় নেপালি লোকটি সমস্যায় পড়েছিলেন বোধহয়। তিনি মামাকে একবার বলেন এদিকে যেতে আরেকবার বলেন ওদিকে যেতে। এভাবে করতে গিয়ে আমাদের গাড়িটি বালুতে আটকে যায়। বালু থেকে গাড়িটিকে উদ্ধার করার জন্য মামা চেষ্টা করে গেলেন। নিরুপায় হয়ে আমি, খালু এবং নেপালি লোকটি গাড়ি থেকে নেমে গেলেন। তারপরেও মামা সক্ষম হলেন না গাড়িটিকে বালু থেকে উদ্ধার করতে। শেষমেশ আমরা সবাই মিলে হাতের সাহায্যে চাকার পাশ থেকে বালু সড়ালাম। এবার মামা সক্ষম হলেন গাড়িকে বালু থেকে উদ্ধার করতে।
তারপর ইমরান সাহেবের বাসায় উপস্থিত হলাম। আমাদের দেখে খুব খুশি হয়েছিলেন তিনি। উনার ওখানে পৌঁছার পর টর্চ লাইটের আলোর সাহায্যে উনার বাসার পাশ থেকে আমাদের ঘুরিয়ে আনলেন। উনি একটা সবজি কোম্পানীর বাগান রক্ষণাবেক্ষণ করেন মূলত। আর ঐ নেপালিজ উনার সহকারী। রাত তখন প্রায় ১০টা হবে, উনি আমাদের জন্য রাতের খাবার তৈরি করে পরিবেশনের ব্যবস্থা করলেন। খাওয়া শেষে আমরা ঘন্টা খানেক সবাই মিলে গল্প করলাম। সবকিছু শেষে আবুধাবীর উদ্দেশ্যে যখন রওনা দিই তখন রাত ১২টা পার হয়ে গিয়েছিল। ইমরান সাহেবের বাসা থেকে যখন আবুধাবীতে পৌঁছি ঘড়িতে সময় তখন রাত সোয়া ১টা।
(চলবে)
*জাবালে হাফিতের আরো কিছু ছবিঃ
ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।
Posted on অক্টোবর 22, 2012, in ভ্রমণ and tagged আল-আইন, জাবালে হাফিত. Bookmark the permalink. 18 টি মন্তব্য.
আমাগো দেশ কবে এই রকম হবে !!!
কমপক্ষে ১০০ বছর পিছিয়ে আছি আমরা তাদের থেকে!
ঠিক বলেছেন ।
আল-আইন ভ্রমণ কাহিনীর সাথে ইতিহাস যুক্ত করাতে পোস্টটা সমৃদ্ধ হয়েছে। আগের দুই পর্বের চাইতে এই পর্বটি ভালো লেগেছে বেশি।
আল-আইনের ইতিহাস যুক্ত না করলে পোস্টটা অসম্পূর্ণ থেকে যেত। তাই চিন্তা করে ইতিহাস যুক্ত করেছি।
ধন্যবাদ তোমাকে।
শুধু পারলাম না আমরা। আমাদের সব কিছু ছিল শুধু নেই একজন দেশ প্রেমিক নেতা। আপনার লেখায় অনেক তথ্য দিয়েছেন। ভাল। চলুক। আরো জানতে চাই।
আমরা পারিনি! আমাদের এতো প্রাকৃতিক সম্পদ থাকার পরও আমরা পারিনি, পারছিনা। এটা রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা।
ধন্যবাদ উদরাজী ভাই।
সুন্দর বলেছেন সাহাদাত ভাই।
আমাদের দেশে সব থেকেও কেন যেন আমরা বড় পিছিয়ে আছি।
এই দুঃখ কখনো শেষ হবে না বোধহয়। আর শেষ হলেও জানিনা কবে শেষ হবে। আমাদের এতসব থেকেও কেন যে আমরা পিঁছিয়ে আছি!!
ফেসবুকের মন্তব্যটাই এখানে কপি করছি-
তোমার লেখাটা পড়া হয়েছে। অসাধারণ লিখেছো, বিশেষ করে আল-আইনের ইতিহাসটা। ইতিহাস পাঠও হয়ে গেলো। আগের দুইটা পর্বের চেয়ে এই পর্বটা অনেক গোছালো। আরেকটা কথা, তুমি যদি এর সাথে সেখানকার মানুষদের জীবন যাত্রা একটু দেখাতে পারো, আরো ভালো হবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি নিশ্চয় জানেন, এটা ৭ বছর আগের ভ্রমণ কাহিনী, তখন সবেমাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলাম। যার কারণে ঐ সময়ে মানুষের জীবন যাত্রার দিকে লক্ষ্য রাখার বিষয়টি মাথায় ছিলোনা। তারপরেও আমি কিছু ব্যাপার নোট করে রেখেছিলাম মানুষের জীবন যাত্রা সম্পর্কে। সেগুলো পরবর্তী পর্বগুলোতে উল্লেখ করবো।
ভালো থাকুন সব সময়।
ভ্রমণ কাহিনীতে বিরক্ত ছিলো না আর থাকবেনা কখনও।
আপনার ২য় পর্বটি সেদিন আবারও পড়লাম। আজ ৩য় পর্বটি ছাড়িয়ে গেলো প্রথম দু’টোকে। ইতিহাস জানলাম বেশ কিছু যা আগে কখনও জানা হয়নি। ব্যবসা বা ঘুরোঘুরির জন্য আরব-আমিরাত, আবুধাবী ঘোরা হয়েছে অনেক। ওদের কাচ্চি বিরিয়ানী সত্যি অসাধারণ।
নতুন করে আর কি বলবো, বুঝতেই পারছেন আপনার এই সিরিজটি বেশ পছন্দের।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম রুমান ভাই।
শুভেচ্ছা!
আরব আমিরাত আপনারও ঘোরা হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আসলেই, ওদের কাচ্চি বিরিয়ানীর স্বাদ অসাধারণ। আর এ পর্বে আল-আইনের ইতিহাস অন্তর্ভূক্ত না করলে পর্বটা অসম্পূর্ণ থেকে যেত। আপনি শেষবার কবে গিয়েছিলেন UAE তে?
অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। ভালো থাকুন সব সময়।
ঈদ মোবারক!
অসাধারন কাহিনীর সাথে চমৎকার ফটোগ্রাফি ! খুব ভাল লাগছে, চলুক
ধন্যবাদ যাদব দা। তবে ছবিগুলো আমার তোলা না, ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা।
ভালো থাকুন।
অনেক কিছু জানতে পারলাম এই পর্ব থেকে। বিশেষ করে আল-আইনের ইতিহাস। পরবর্তী পর্বগুলোতে এমনটি প্রত্যাশা করছি।
পরবর্তী পর্বগুলোতে ইতিহাস সম্পর্কিত কোন তথ্য দেয়ার প্রয়োজন হলে অবশ্যই তা সংযুক্ত করবো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি তথ্য দিব না