বিদায় ভূমি! স্বাগতম স্বদেশ!

১৯৪৬’এর Great Kolkata Killing নামে পরিচিত হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার ফলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মি. ক্লেমেন্ট রিচার্ড এটলি হিন্দু-মুসলমানদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনের উদ্দেশ্যে ব্যারিস্টার মি. রেডক্লিপকে ভারত ভাগের বাউন্ডারি কমিশনের প্রধান বানিয়ে উপমহাদেশে পাঠান। যিনি কিনা এর আগে কখনো ভারতে আসেননি এবং ঐ সময়ের এ অঞ্চলের প্রশাসনের কাউকে চিনতেন না। এমনকি ভাইসরয় মাউন্টবাটেনের কাছ থেকে তিনি দূরত্ব বজায় রেখে চলতেন! তবে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী ক্রিস্টফার বিউমন্ট প্রশাসনের অনেকের সাথে পরিচিত ছিলেন। তাছাড়া সীমানা নির্ধারণ উত্তর ভারতজুড়ে সংঘাতের কারণে রেডক্লিপ তাঁর পারিশ্রমিক ৪০ হাজার রুপি (৩ হাজার পাউন্ড) প্রত্যাখান করেন। পরবর্তী কর্মজীবনে তিনি প্রিভি কাউন্সিলের সর্বোচ্চ আসনে আসীন হন। Read the rest of this entry

আমার জন্মদিনের খতিয়ান!

১৯শে ডিসেম্বর তারিখে এই বসুন্ধরায় আমার আগমনের দিন। আমার বাবা-মায়ের কারণে আমি এই পৃথিবীর আলোর মুখ দেখেছি। অন্যান্য দিনগুলোর মতো এই দিনটিও শুরু হয় স্বাভাবিকভাবে। তবে বন্ধের দিন হওয়ায় একটু ব্যস্ততার মধ্যে ছিলাম আমার জন্মদিন উপলক্ষ্যে।

গতকাল অর্থাৎ ১৯শে ডিসেম্বর, শুক্রুবার দুপুরে খালা শ্বশুর বাড়িতে দাওয়াত ছিলো। দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে রওনা হয়েছিলাম, পৌঁছেছিলাম আধা ঘন্টার মধ্যে। আমার সেই খালা শ্বাশুরী আবার আগে থেকেই আমার জন্মদিনের ব্যাপারটা জানতেন। আর সে কারণে উনার বাড়িতে আমাদের পরিবারকে দাওয়াত করা! Read the rest of this entry

হয়তো এরকমই কিংবা না

মানুষের জীবন প্রদীপ একদিন না একদিন নিভে যায়। কারোটা আগে, কারোটা পরে। আবার কারোটা অনেক আগেই নিভে যায়। আমার জীবন প্রদীপ অনেক আগেই নিভে যাক সেটা আমি চাই না। কারণ এই জীবন যুদ্ধে আমি পরাজিত সৈনিক হতে চাই না। আমি জয়ী হতে চাই এই জীবন সংগ্রামে।

আমার সহপাঠী, বন্ধুমহল, সমাজ আমার প্রতি সিম্প্যাথি দেখাক সেটা আমি মোটেও কামনা করি না। আমি চাই মানুষের ভালোবাসা। মানুষের ভালোবাসাই আমার সম্বল। এটা নিয়ে আমি বেঁচে থাকতে চাই, চাই আরো কয়েকটা দিন বাঁচার। আজ আমি খুবই ক্লান্ত। এতই ক্লান্ত যে কালকের দিনটিতে আমার শরীর বেঁচে থাকার শক্তি পাবে কিনা তা নিয়ে বরাবরের মতো সন্দিহান। জীবনের সাথে লড়াই করতে করতে সত্যিই আমি ক্ষত-বিক্ষত। Read the rest of this entry

এসিডদগ্ধের জন্য আইনি সুরক্ষা

শারমিন আখতার আঁখি, ঢাকার ইডেন কলেজের বাংলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী। গত ১৫ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে কলেজের উদ্দেশ্যে সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হন তিনি। তার সাথে ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করা মনির উদ্দিন নামের এক যুবকের সাথে পূর্ব পরিচয় ছিল। ঘটনার দিন আগে থেকে উঁৎ পেতে থাকা মনির ও তার সহযোগী মাসুম তাকে ধারালো অস্ত্র ও এসিডের ভয় দেখিয়ে জোর করে রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকার একটি কাজী অফিসে নিয়ে যায়। কাজী অফিসে নিয়ে গিয়ে আঁখিকে জোর করে বিয়ে করতে চেয়েছিল মনির। কিন্তু আঁখি কোনক্রমে রাজী না হওয়াতে মনির ও তার সহযোগী মাসুম মিলে প্রথমে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় Read the rest of this entry

নির্যাতনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশুর আইনি প্রতিকার

Imageদুমুঠো ভাত ও কিছু আয়ের আশায় গ্রাম ছেড়ে চট্টগ্রামে এসেছিল রীনা (১৮)। পরিচিত কয়েকজনের সহায়তায় শহরের একটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে চাকরি পায় সে। কর্মস্থলে পরিচয় হয় মাসুদ নামের এক যুবকের সঙ্গে। পরিচয় গড়ায় প্রেমে। একপর্যায়ে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের বিনিময়ে। বিয়ের মাসখানেক যেতে না যেতেই রীনার ওপর নেমে আসে যৌতুকের খড়গ। আরো ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য রীনার শ্বশুর-শাশুড়ি তার পরিবারকে চাপ দেয়। কিন্তু তার পরিবার এই চাহিদা মেটাতে অপারগ। ফলে সরল মেয়েটির ওপর শুরু হয় নির্যাতন। একপর্যায়ে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রীনা। Read the rest of this entry

ফিরে দেখা ডিসেম্বর: শেষ পর্ব

“ফিরে দেখা ডিসেম্বর” শিরোনামে এই সিরিজের শেষ পর্বে থাকছে ৭১’এর মুক্তিযুদ্ধের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনাপুঞ্জ।

১৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১

একাত্তরের এই দিনে বগুড়ার কাহালু উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার অধ্যক্ষ হোসেন আলী সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে ১৩ ডিসেম্বর ভোর ৪টায় পশ্চিম কাহালুর কাওড়াশ এলাকা থেকে দুপুর ১২টার পর কাহালু থানা চত্বরে পৌঁছেন। সেখানে পৌঁছে তিনি প্রথমে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন এবং কালালু উপজেলাকে শত্রু মুক্ত ঘোষণা করেন। Read the rest of this entry

ফিরে দেখা ডিসেম্বর: ৩য় পর্ব

এই পর্বে থাকছে ৭১’এর ৯ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনাপুঞ্জ।

৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১

একাত্তরের এই সময়ে দ্রুত মুক্ত হতে থাকে একের পর এক জায়গা। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধে টিকতে না পেরে পাক হানাদার বাহিনী পিছু হঠতে থাকে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকে নস্যাৎ করে দেয়ার জন্য পাকিস্তানের সহযোগী যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা থেমে থাকেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ সময়ে পাকিস্তানকে সহযোগিতা করার পদক্ষেপ নেয়। আজকের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিক্সন তার ৭ম নৌবহরকে বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা দিতে আদেশ দেন। উদ্দেশ্য মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়া। কিন্তু তার উদ্দেশ্য সফল হয়নি। কারণ বীর সন্তানদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়া মোটেও সহজ কাজ নয়। Read the rest of this entry