Category Archives: ফটোগ্রাফি

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে একদিন

চট্টগ্রাম শহরের মধ্যে যে সমুদ্র সৈকতটি বেশি জনপ্রিয় সেটি হলো পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও নেভাল একাডেমির পাশেই এই জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতের অবস্থান। প্রতিদিন শত শত পর্যটক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য ছুটে যান পতেঙ্গার উদ্দেশ্যে। এই সমুদ্র সৈকতটি ছাড়া চট্টগ্রাম শহরের মধ্যে আরো একটি সমুদ্র সৈকত রয়েছে যেটি সাগরিকা বীচ বা সাগরিকা সমুদ্র সৈকত নামে পরিচিত, যার অবস্থান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের লাকী গ্রাউন্ড জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পাশে। যদিও এটি এখনো অতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি। এছাড়া শহরের বাইরে আনোয়ারায় আরো একটি সমুদ্র সৈকত রয়েছে। যেটি পারকী বীচ বা পারকীর চর নামে পরিচিত। সেটিও বেশ জনপ্রিয় পিকনিক স্পট হিসেবে। চলুন তাহলে, দেরী না করে এবার পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের কিছু ছবি দেখা যাক। Read the rest of this entry

শিরোনামহীন

গত ২৯শে মার্চ গিয়েছিলাম ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউনিয়নে বন্ধু মিজানের বাড়িতে। উদ্দেশ্য তার বিয়েতে উপস্থিত থাকা। সে দিন বিকেল ৪টায় আমি, বন্ধু ইকবাল এবং মিজানের এক কাজিন মিলে চট্টগ্রামের অক্সিজেন এলাকা থেকে রওনা হলাম মিজানের বাড়ির উদ্দেশ্যে। তার বাড়িতে যখন পৌঁছলাম ঘড়িতে সময় তখন সন্ধ্যা ৭টা বেজে ১০ মিনিট। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় ওদের এলাকায় আর ঘুরা হলোনা। পরেরদিন অর্থাৎ ৩০শে মার্চ দুপুরে মিজানের শুভ বিবাহের দিনক্ষণ, তাই আগের রাতেই ঠিক করে রাখলাম খুব সকালে উঠে আমরা ৩ জন (আমি, ইকবাল এবং মিজানের কাজিন) মিলে দাঁতমারা ইউনিয়নে ঘুরতে বের হবো। আমি আগে থেকে জানতাম তাদের বাড়ির পাশেই চা বাগান রয়েছে, যেটার নাম- নিউ দাঁতমারা টি এস্টেট। সুতরাং চা বাগানে ঘুরতে যেতে মন চাইছিল বেশি। Read the rest of this entry

চট্টগ্রামের বাটালী হিল

চট্টগ্রামের মূল কেন্দ্রে অবস্থিত বাটালী হিল। এটি চট্টগ্রাম শহরের সবচেয়ে উচু পাহাড়। উচ্চতা প্রায় ২৮০ ফুট। মনে মনে ভাবছেন এতে উঠতে চরম কষ্ট করতে হবে। চিন্তার কোনো কারণ নেই, পাহাড়ে উঠার যাদের নূন্যতম অভিজ্ঞতা নেই তারা অনায়াসে বাটালী হিলে উঠতে পারবেন। চট্টগ্রাম শহরের প্রাণ কেন্দ্রের লালখান বাজার এলাকার ইস্পাহানী মোড়ের উত্তরে ফাহিম মিউজিকের পাশ ঘেষে এবং ম্যাজিস্ট্রেট কলোনীর পিছন দিয়ে পিচ ঢালা পথ বেয়ে উপরে দিকে উঠে গেছে বাটালী হিলের রাস্তা। এই বাটালী হিল আবার ‘জিলাপি পাহাড়’ নামেও পরিচিত। এর কারণ হচ্ছে- পাহাড়ে উঠার রাস্তাটি জিলাপির প্যাঁচের মত আঁকা-বাঁকা পথ বেয়ে উপরের দিকে উঠে গেছে, এর ফলে পাহাড়ের চূড়ায় উঠার সময় অন্যরকম একটা চমৎকার অনুভূতি হয়। Read the rest of this entry

যেভাবে কাটালাম এবারের পহেলা বৈশাখ

নববর্ষের শুভেচ্ছা সবাইকে

সকালে ঘুম থেকে উঠে মনে করেছিলাম বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হলে সারাদিনের পরিবেশ একটু হলেও ঠান্ডা থাকবে। যার ফলে দিনটা ক্লান্তি ছাড়াই কাটিয়ে দেয়া যাবে। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্য্যি মামা উত্তাপ ছড়াতে লাগলো। এতকিছু না ভেবে প্রস্তুত হয়ে সকাল ১০টার দিকে বাসা থেকে বের হলাম। নির্দিষ্ট জায়গায় অর্থাৎ সিআরবি’তে পৌঁছতে ১ ঘন্টার মত লাগলো।

সিআরবি’তে পৌঁছে প্রথম দেখা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা অনুষদের বড় ভাই তারেক ভাইয়ের সাথে। প্রায় ১ বছর আগে যখন উনার গ্রাজ্যুয়েশন শেষ হয়েছিল তখন উনার সাথে শেষ দেখা হয়েছিল, এরপর আর দেখা হয়নি। নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিয়ম করে, টুকটাক কথা বলে উনার কাছ থেকে বিদায় নিলাম। Read the rest of this entry